অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করলেন কুড়িগ্রাম ৪ আসনের ২ প্রার্থী। তারা হলেন ঈগল মার্কার প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান বাবলু।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোটসহ নানান অনিয়ম হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে ভোট বর্জন করেন।
প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী নিজ বাসায় বিকেল ৩ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেন, নৌকার মাঝি বিপ্লব হাসান পলাশ জাল ভোটসহ নানান অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন এবারে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেজন্য আমি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। এতদিন নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোট গ্রহণের দিন সকাল পর্যন্ত পরিবেশ ভালোই ছিল। কিন্তু আ.লীগের প্রার্থী ঢাকা থেকে প্রায় ৫ হাজার ছাত্র এনে জাল ভোটসহ নানান অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন। আমি এই নির্বাচন বর্জন করলাম।
একই সময়ে (বিকেল ৩ টার দিকে) নিজ বাসায় সাংবাদিকদের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান বাবলু বলেন, কুড়িগ্রাম ৪ আসনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনটা যে প্রহসনের হবে তা আমার জানা ছিল না। রৌমারী রাজিবপুর, চিলমারী উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে জাল ভোট হয়েছে। বাচ্চারা ভোট দিয়েছেন। তারা ভোটার নয়। যেখানে যে অবস্থায় পারছে সীল মেরে নিচ্ছে। যার কারণে আমি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
উল্লেখ্য, চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম ৪ আসন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন। এই আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে এখন ভোট গণনা চলছে।
