দুই দিন অপেক্ষায় থেকে ১১০ মিনিটে অলআউট নিউজিল্যান্ড

দুই দিন অপেক্ষায় থেকে ১১০ মিনিটে অলআউট নিউজিল্যান্ড
দুই দিন অপেক্ষায় থেকে ১১০ মিনিটে অলআউট নিউজিল্যান্ড

হোম অব ক্রিকেটে আরও বড় সাফল্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাংলাদেশ দলকে। গেল দিনের বৃষ্টিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়ার অপেক্ষা বাড়ে বাংলাদেশের। দুই দিন পর অবশেষে আজ মিরপুরের আকাশে দেখা মিলল রোদের, খেলা শুরু হয় ১২ টায়। দ্রুইত কিউইদের বাকি ৫ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। তবে এর আগেই কিউইরা পেয়ে যায় ৮ রানের লিড।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ১৮০ রান। আর তাতেই টিম সাউদিদের লিড দাঁড়ায় ৮ রানে। আজ ৮ই ডিসেম্বর দুপুরে ফের ব্যাট করতে আসে কিউইরা, তাইজুল যেখানে ওভার রেখে গিয়েছিলেন আজ সেখান থেকেই নতুন শুরু করলেন। আজকের আগে গত ৬ ডিসেম্বর বিকালে নিউজিল্যান্ড শেষবার ব্যাট করে। এরপর বৃষ্টি বাধায় কেটে যায় প্রায় দুই দিন। আজ দুপুরে ব্যাট করতে নেমে ১১০ মিনিটের বেশি টিকতে পারেনি কিউইরা। বাকি পাঁচ ব্যাটারকে তারা হারায় এক সেশনের মধ্যেই। নিউজিল্যান্ড অলআউট হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই চা বিরতিতে যায় ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন।

নিউজিল্যান্ড দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষ করে বাংলাদেশের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে। ১২.৪ ওভারে ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে অবশ্য টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ১৭২ রান। প্রথম দিনের শেষ বিকালে মিরাজ, তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে চালকের আসনে ফিরে স্বাগতিকরা।

গতকাল ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় দিন, বৃষ্টির কারণে এদিন কোনো বলই গড়ায়নি মাঠে। বৃষ্টি শেষে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায় আজকের সকালের সেশনও। লাঞ্চ ব্রেকের পর দুপুর ১২ টায় শুরু হয় খেলা।

খেলা শুরুর ৯ ওভার ও সময়ের হিসাবে ৩৫ মিনিট পর বাংলাদেশ দেখা পেল সাফল্যের। নাইম হাসান জুটি ভেঙে এদিন শুধু ব্রেকথ্রু’ই এনে দেননি পরপর দুই ওভারে দখলে নেন জোড়া শিকার। প্রথমে ফেরান ড্যারিল মিচেলকে। এই আউটে অবশ্য বেশি কৃতিত্ব অনেকটা মাঠ দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ লুফে নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের।

নিজের পরের ওভার করতে এসে নাইম তুলে নেন ১ রানে থাকা মিচেল স্যান্টনারের উইকেট। নাইমের কল্যাণে দ্রুতই দুই উইকেট নিয়ে কিউইদের লাইন-আপে বাংলাদেশের আরও একটি পেরেক। এরপর পেসার শরিফুল ইসলাম নেন জোড়া উইকেট। ভাঙেন গ্লেন ফিলিপসের সাথে কাইল জেমিসনের গড়া ৫৫ রানের জুটি। ফেরার আগে ৩ চারে জেমিসনের রান ২৮ বলে ২০।

একা হাতে লড়াই চালানো গ্লেন ফিলিপসও শেষপর্যন্ত ফিরলেন শরিফুলের পেস সামলাতে না পেরে। ৩৮ বলে পঞ্চাশ করা ফিলিপস এরপর হয়ে ওঠেন আরও ভয়ংকর। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালিয়ে লিডে পৌঁছে দেন দলকে। সেঞ্চুরির পথে থাকা ফিলিপসকে অবশ্য ৮৭ রানে থামিয়ে দেন শরিফুল। তার বিদায়ের পরের ওভারেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৮০ রান করে ফেলা কিউইদের লিড তখন ৮ রানের। 

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ও মিরাজ। বাকি ৪ উইকেট ভাগ করে নেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও নাইম হাসান। 

Scroll to Top