রাশিয়ায় ২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা ফ্রান্সের ওই দলের অর্ধেকের বেশি খেলোয়াড় ছিলেন বংশোদ্ভূত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফ্রান্সের সেই দলের প্রতিচ্ছবি দেখছেন লাল-সবুজের দলেও।
অবশ্য এমন দেখাতে খুব একটা দোষ দেয়া যায় না জামালকে। কারণ বাংলাদেশ দলে এখন বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ছে এবং বাড়তে বাড়তে গিয়ে সেটি ঠেকেছে ছয়ে। অধিনায়ক জামাল নিজেও বংশোদ্ভূত, তারিক কাজীর পর সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানি, হামজা দেওয়ান চৌধুরী আগে থেকে বাংলাদেশে খেলার চেষ্টা করেছেন, দলে যুক্তও হয়েছেন।
এরপর কোচের চাওয়ায় দলে আসেন ফাহমিদুল ইসলাম। দলে ডাক পেয়েছেন কানাডার লিগ জেতা সামিত সোম। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন সান্দারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা কিউবা মিচেল। লা লিগায় খেলা জিদান মিয়াসহ আরও অনেকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান বাংলাদেশের।
বিষয়টি নিয়ে জামাল বললেন, ‘যখন তারিক যোগ দিয়েছে, তখনও আমি চিন্তা করেছি আর কেউ যোগ দেবে না। কিন্তু এখন দেখছি সংখ্যাটা বাড়ছে আর বাড়ছে। এটা আমি মনে করি দেশের জন্য ভালো হবে।’
‘অবশ্যই স্থানীয় যারা আছে তারা ভালো খেলবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সেরা উদাহরণ হচ্ছে ফ্রান্স দল, তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বাইরের। তারা কিন্তু বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। আমিও একই দৃশ্যপট দেখছি, যাকে আমরা বিদেশি বলি ওরা যোগ দিচ্ছে।’
কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমন হলে বুধবার অভিষেক হয়ে যেতে পারে ফাহমিদুল ইসলামের। দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তির কারণে সামিতকে মাঠে নাও দেখা যেতে পারে।