মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক প্রধান কৌশলবিদ ও মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (মাগা) আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্টিভ ব্যানন বলেছেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত পরিস্থিতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরেকটি অধ্যায় উন্মোচন করছে।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দল গঠন শুরু হয়ে গেছে। এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অধ্যায়ের আরেকটি উত্তপ্ত সপ্তাহ। আমি যা বলছি, তা বেশ নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া।
মার্কিন সামরিক বাহিনী এ পরিস্থিতিতে সামরিক সরঞ্জাম ও বাহিনী মোতায়েন জোরদার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বি-১ বোমারু বিমান গুয়ামে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কিনা, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বি-২ বোমারু বিমানগুলো ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর বহনের উপযোগী, যা ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানগুলোকে এখনও গুয়ামের বাইরে সরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কতগুলো বি-২ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে, তাও জানানো হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করে বলছেন, বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটিশ যৌথ সামরিক ঘাঁটি ডিয়েগো গার্সিয়ায় পাঠানো হতে পারে। এ ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে অভিযান পরিচালনার জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর স্টিভ ব্যাননের প্রভাব অনেক বেশি।
গত বৃহস্পতিবার ব্যানন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে দেখা করেন। এর আগেই ট্রাম্প ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার অনুমোদন দিয়েছেন।
সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজ এবং এর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হচ্ছে। ইউএসএস নিমিটজে প্রায় ৬০টি যুদ্ধবিমান থাকতে পারে।
সেই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হলে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনাকে সুরক্ষা দিতেই এ ধরনের শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে প্রধান কৌশলবিদের দায়িত্ব পালন করা স্টিভ ব্যানন এ বিষয়ে সরাসরি ইরানের ওপর মার্কিন হামলার বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, আরেকটি ইরাক যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাবে না। এতে দেশ ভেঙে পড়বে। ইসরায়েলিদেরই তাদের কাজ শেষ করতে হবে।
তবে তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরান ইস্যুতে তিনি হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।