ডায়াবেটিসের রোগীরাও পুজোর সময় জমিয়ে মিষ্টি খেতেই পারেন! জানুন ডাক্তারের পরামর্শ

ডায়াবেটিসের রোগীরাও পুজোর সময় জমিয়ে মিষ্টি খেতেই পারেন! জানুন ডাক্তারের পরামর্শ
ডায়াবেটিসের রোগীরাও পুজোর সময় জমিয়ে মিষ্টি খেতেই পারেন! জানুন ডাক্তারের পরামর্শ

কোচবিহার: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। আর পুজো মানেই জমিয়ে খাওয়ার আয়োজন ও রকমারি মিষ্টির পদ। তবে এই সব চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের জন্য। তবে এত কিছুর মাঝেও নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা। তার জন্য মানতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, “রোজ হাল্কা কিছু ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রাখতে হবে। এছাড়াও সাইক্লিং, সুইমিং, জগিং, দৌড়ানো এইসবও শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে। তবে বারে বারে খেতে হবে। অর্থাৎ একবারে কখনই অনেকটা খাবার খাওয়া যাবে না। বরং দিনে বহুবার, অন্তত ৬ বারে খেতে হবে খাবার।”

তিনি আরও জানান, “বারে বারে অল্প পরিমাণে খাবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে খুব সহজেই। প্রসেসড ফুড অর্থাৎ প্যাকেট জাত বা ফাস্ট ফুড না খাওয়াই বেশি ভাল। ড্রাই ফ্রুটস, মিষ্টি চকোলেট, ক্যান্ডি- এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে পুজোর মরশুমে এগুলি লেগেই থাকবে। তাই খুব স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন। তবে কখনওই বেশি খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে প্রসেসড প্রোটিন না খাওয়াই ভাল। কারণ এইসব খাবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে। কোল্ড ড্রিঙ্কস বা সোডা জাতীয় পানীয় না খেয়ে বরং স্বাস্থ্যকর পানীয় অর্থাৎ হেলদি ড্রিঙ্ক যেমন ডাবের জল, ফলের রস, ঘরে তৈরি করা স্মুদি, লো-ফ্যাট যুক্ত লস্যি এইসব খাওয়া যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: 

আরও পড়ুন:  বাসি পাউরুটি দিয়ে বানান ফুলকো লুচি! জানুন সহজ রেসিপি ও পদ্ধতি! স্বাদ জিভে লেগে থাকবে

এছাড়াও তিনি জানান, “পুজোর সময় খাওয়ার মেনুতে রাখা ভাল দইয়ের শরবত। ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা খুব প্রয়োজন। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নয়, বরং রোজ হাল্কা কিছু একসারসাইজ করলে শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। পুজোর সময় হেঁটে ঠাকুর দেখতে বেরোলে বেশি ভাল। গরমে হেঁটে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হলে সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। তাই বলে একসঙ্গে অনেকটা জল একবারেই খাওয়া যাবে না। মেপে জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি ভাল। ঠান্ডা জল না খাওয়াই উচিত। হাঁটাচলা করতে করতে জল না খেয়ে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে খুব সহজেই।”

Sarthak Pandit

Published by:Piya Banerjee

First published:

Tags: Diabetes, Health care, Health Tips

Scroll to Top