ডাকসুর ভোটে এবার একটি ‘ফ্যাক্টর’ (নির্ধারক বিষয়) হলো, কারা ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কার কী ভূমিকা ছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদী ভূমিকায় ছিল বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো।
প্রতিরোধ পর্ষদের চারজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রতিবাদী ভূমিকাকে কাজে লাগাতে চায় প্রতিরোধ পর্ষদ। প্রার্থীরা তাঁদের ওপর হওয়া ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থানের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অবস্থানও তারা কাজে লাগাতে চায়।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও নির্যাতনের অভিযোগ না থাকা এবং ব্যক্তি ও নারী স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান—এসব বিষয়কে নিজেদের শক্তির দিক বলে মনে করেন প্রতিরোধ পর্ষদের নেতারা। তবে তাঁরা বলছেন, ডাকসুর ভোটের প্রচারে অনেকে অনেক টাকা খরচ করছেন। সেটা তাঁরা করতে পারছেন না, করার চেষ্টাও করছেন না।
নিজেদের যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি না থাকাকেও চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কেউ কেউ। তবে দুজন প্রার্থী বলেন, সংগঠনের বাইরের অনেকেই তাঁদের সমর্থন দিচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁদের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোট তাঁরা পাবেন বলে মনে করেন। তবে এ ক্ষেত্রে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ আশঙ্কার কথা বলছেন তাঁরা।
প্রতিরোধ পর্ষদের দুজন প্রার্থী বলেন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা কম রাখা হয়েছে। এতে ৪০ হাজারের মধ্যে ২০ হাজার ভোট নেওয়া সম্ভব হতে পারে। দীর্ঘ সময় লাগলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে আগ্রহী হবেন না। এতে কোনো কোনো প্যানেল সুবিধা পেতে পারে। এটাকে তাঁরা বলছেন ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করছেন প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থীরা।