সিলেট, ২৪ আগস্ট – বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর ও জনগণের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
এ লক্ষ্যে, শনিবার (২৩ আগস্ট) সিলেটে আয়োজিত অংশীজন কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীরা অংশ নেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও প্রতিকার, কমিশনের তদন্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণের মতো প্রস্তাবনা দেন।
শনিবার বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, কমিশনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাগরিক অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইনের যথাযথ সংশোধন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন কমিশনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আইন প্রণয়ন হয়েছিল মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য। কিন্তু শুধু ভালো আইন নয়, তার কার্যকর বাস্তবায়নও জরুরি। আজ সিলেট থেকে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক পরামর্শের মাধ্যমে আইনকে আরও শক্তিশালী ও জনবান্ধব করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
কর্মশালায় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম শাফায়েত হোসেন কমিশনের সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এছাড়া এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
এই উদ্যোগে সহায়তা করছে বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ আইন কমিশনের সংস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ২৪ আগস্ট ২০২৫