জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে

জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমে সরকারের এখন কোনো মনোযোগ নেই। জনবলের কিছু ঘাটতি থাকলেও আর্থিক কোনো ঘাটতি নেই। অথচ মনোযোগের অভাবে এই কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রায়ই জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর ঘাটতি দেখা যায়। গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে খাওয়ার বড়ি ও ইনজেকটেবল পদ্ধতির (ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া পদ্ধতি) সরবরাহ ছিল না। ভয়ের কারণ হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর ব্যবহার কমলে গর্ভপাত ও গর্ভপাতের কারণে মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কা থাকে। ২০১৬ সালে গর্ভপাতে মৃত্যু ৬ শতাংশ ছিল, যা এখন বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।

সরকারিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের সেবার মধ্যে রয়েছে খাওয়ার বড়ি, কনডম, দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ইনজেকশন, ইন্ট্রা-ইউটেরিন ডিভাইস (আইডি) বা কপার টি ও ইমপ্ল্যান্ট, স্থায়ী পদ্ধতি এবং জরুরি বড়ি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেওয়ার প্রবেশগম্যতা ও সরবরাহ—দুটি ক্ষেত্রেই সমস্যা রয়েছে। চর, হাওরসহ দুর্গম অঞ্চলে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকারি সেবার ঘাটতি রয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী এখন বেসরকারি খাতনির্ভর হয়ে পড়েছে। বেসরকারি খাতগুলো জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর মূল্য বাড়িয়েছে। ফলে দরিদ্র ব্যক্তিরা অনেক সময় জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী কিনতে না পেরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন না।

Scroll to Top