ছেলেরা কল অব ডিউটি খেলল, এরপর ভাবলাম একটা জয় নিয়ে আসা যাক: কামিন্স

ছেলেরা কল অব ডিউটি খেলল, এরপর ভাবলাম একটা জয় নিয়ে আসা যাক: কামিন্স
ছেলেরা কল অব ডিউটি খেলল, এরপর ভাবলাম একটা জয় নিয়ে আসা যাক: কামিন্স

ভারতের মাটি থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। এমনটা হয়ত ভাবার সুযোগ আসেনি কারও। যে ভারত অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছে, তাদের হারিয়ে দেওয়া, সেটা আবার ঘরের মাঠে– তবুও একটা কিন্তু ছিল। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। যারা জানে ফাইনালটা কীভাবে খেলতে হয়।

অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই বছরটা দারুণ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা, সেটাও ভারতের বিপক্ষে। অ্যাশেজ জিতে নেওয়া। শেষটা হলো বিশ্বকাপ জিতে। অধিনায়ক হিসেবে প্যাট কামিন্সের যেন আর কিছুই চাওয়া-পাওয়া নেই। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন গেল, তিনের মধ্যে সেরা কোনটা?

“(হাসি) আসলে এটাই (সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত)। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিশাল ব্যাপার ছিল। ভারতের মত জায়গায় ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা, যেখানে আপনি জানেন কন্ডিশন আপনার বাড়ির মত নয়। ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে ১১ ম্যাচ, যেভাবে ছেলেরা এটা পার করল দুর্দান্ত ছিল, এটাই সেরা।”

নিঃসন্দেহে। ভারতের মাটি থেকে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়, সেরা না হয়ে উপায় নেই। সবচেয়ে মধুর মুহূর্ত হিসেবে হাসতে হাসতে ভিরাট কোহলির উইকেট নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেন কামিন্স।

“হ্যাঁ হয়ত হ্যাঁ (হাসি)। এখানে কয়েক সেকেন্ড সময় লেগেছে দর্শকদের চুপ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি টের পেতে। মনে হচ্ছিল অন্যান্য দিনের মত তার জন্য মঞ্চ একদম প্রস্তুত ছিল, আরও একটি সেঞ্চুরি পাওয়ার জন্য। তবে বিষয়টি স্বস্তির ছিল।”

ফাইনালের আগের রাত গুরুত্বপূর্ণ। মনোনিবেশ করা, উত্তেজনা একপাশে সরিয়ে রেখে পরেরদিনের বিষয়টি সহজ করে নেওয়া– এই কাজগুলি থাকে। সংবাদ সম্মেলনে কামিন্সের কাছে জিজ্ঞেস করা হলো, ফাইনালের আগের রাতে কী করছিল দল।

“টিম মিটিং ছিল। এরপর অনেকে একসাথে ডিনার করল। ছেলেরা ৩০ মিনিট কল অফ ডিউটি খেলেছে। এরপর ভাবলাম একটা জয় নিয়ে আসা যাক।”

Scroll to Top