গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর পূর্বাচল আমেরিকান সিটি ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটার ক্লাবের উদ্যোগে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের মিডিয়া অডিটোরিয়ামে এই উৎসব আয়োজিত হয়।

প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটি এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটার ক্লাব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটার ক্লাবের সভাপতি মো. শেখ ফরিদ। তিনি বলেন, এই আয়োজন শুধু চলচ্চিত্র প্রদর্শনের নয়, বরং তরুণ নির্মাতাদের ভাবনা বিনিময় ও নিজেদের কাজ তুলে ধরার একটি উন্মুক্ত মঞ্চ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ভেতর সৃজনশীলতা জাগিয়ে তুলতে এ ধরনের আয়োজন খুবই জরুরি। চলচ্চিত্র যেমন একটি শিল্প, তেমনি এটি সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ারও।

বিশেষ অতিথি জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. নিস্তার জাহান কবীর বলেন, যারা মিডিয়া এবং চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছে, তাদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলো অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি এমন সাংস্কৃতিক চর্চা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়ক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. অলিউর রহমান এবং লেকচারার মঞ্জুর কিবরিয়া ভূঁইয়া।

এতে সভাপতিত্ব করেন ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটার ক্লাবের মডারেটর কাজী মাহাদী মুনতাসির। বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আদনান মাহমুদ সৈকত এবং ফেস্টিভ্যালের পরিচালক রাগিব শাহরিয়ার।

সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও চলচ্চিত্রকর্মী সামান্থা আলী। পুরো আয়োজনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা ছিলেন সক্রিয়। আয়োজকদের মতে, ক্লাব সভাপতি মো. শেখ ফরিদের নেতৃত্ব, আন্তরিকতা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক ও অতিথিরা জানান, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ বাড়ায় এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক যোগাযোগকে আরও দৃঢ় করে তোলে।

/এমএইচআর

Scroll to Top