স্বাস্থ্য খাতে সমস্যার অন্ত নেই; এসব সমস্যা টাকা দিয়েও সমাধান করা যায় না। মহামারি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নতুন বছরে স্বাস্থ্য খাতে বৈশ্বিক ব্যয় মোট জিডিপির ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। তারপরও নাইজেরিয়ার মানুষের গড় আয়ু হংকংয়ের মানুষের গড় আয়ুর চেয়ে ৩০ বছর কম থাকবে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি হবে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবা পেতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চাপ বাড়বে; অনেকে হয়তো কাজ ছেড়ে দেবেন।
দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এই শূন্যতা পূরণে সরকার এগিয়ে আসবে। কর ও বাধ্যতামূলক বিমার মধ্য দিয়ে সরকার স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় নির্বাহ করবে, কোভিডের আগে স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ সরকার বহন করত, ২০২৪ সালে তা ৮০ শতাংশে উন্নীত হবে।
এদিকে বৈশ্বিক ওষুধশিল্পে বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ এ বছর ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হবে যুক্তরাষ্ট্রে আর চীনে ব্যয় হবে এক-দশমাংশ।