কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আবারও শাহবাগ ব্লকেডের ঘোষণা – DesheBideshe

কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আবারও শাহবাগ ব্লকেডের ঘোষণা – DesheBideshe


কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আবারও শাহবাগ ব্লকেডের ঘোষণা – DesheBideshe

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল – খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মুহাম্মাদ মাছুদের পদত্যাগ দাবি ও সেখানে অনশনরত মুমূর্ষু শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ ও শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পরে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জবি) সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করবেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা শাহবাগ চার রাস্তার মোড় অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

এদিকে আমরণ অনশন কর্মসূচির তৃতীয় দিনে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। শিক্ষার্থীরা উষ্ণ আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান উপদেষ্টা।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের প্রতি উদ্বেগের বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করে উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অতিদ্রুত খুলনা যাবে। তারা কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চলতি সমস্যা আশু সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে গত সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ৩২ জন ছাত্র আমরণ অনশন শুরু করেন, তাঁদের মধ্যে ৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন ২৬ জন শিক্ষার্থী অনশনে আছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এনএন/ ২৩ এপ্রিল ২০২৫



Scroll to Top