টরন্টো, ১৫ ফেব্রুয়ারি- টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আহত নিবিড় ইটোবিকো হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় টরোন্টোর ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটে এ দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান (২০), এঞ্জেলা বাড়ৈ (২০) ও আরিয়ান দীপ্ত (১৭)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুরুতর আহতাবস্থায় নিবিড় কুমারকে ইটোবিকো হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর দুইবার তার অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিবিড় কুমারের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
ইতোমধ্যে কুমার বিশ্বজিতের মেয়ে টরন্টো পৌঁছেছেন। ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে মঙ্গলবার রাত ১১টার কানাডার উদ্দেশে রওনা হন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাইমা সুলতানা।
টরেন্টো পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। গাড়ির চালক এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
সেখানে একটু কার্ভ ছিল। হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি ৩ বার উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করে।
একটি টুইট বার্তায় অন্টারিওর প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় পড়া ওই গাড়িটিতে থাকা চার জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে স্টাডি পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসায় টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
আইএ/ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩