
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শুরুর ম্যাচে হার দেখেছিল সফরকারী ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই জয়ে ফিরেছে ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী দল, আর সেটা দাপট দেখিয়েই। অ্যান্টিগায় ইংলিশরা ক্যারিবীয়দের হারিয়েছে ৬ উইকেট হাতে রেখে, ১০৩ বল বাকি থাকতে।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। স্যাম কারেন ও গাস আটকিনসন বল হাতে জস বাটলারের দলকে দেন দারুণ শুরু।
২৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। সেই ধাক্কা কিছুটা সামলানো যায় অধিনায়ক শাই হোপ ও শেরফানে রাদারফোর্ডের জুটিতে। ১২৯ রানের জুটি থামে রাদারফোর্ড ৬৩ রান করে আউট হলে। হোপ ৬৮ রান করেন ঠিক ৬৮ বল খেলেই।
এই দুজন ছাড়া আর কেউই বলার মত রান করতে পারেননি। ৩৯.৪ ওভারে ২০২ রান তুলেই অলআউট হয় উইন্ডিজরা। স্যাম কারেন ও লিয়াম লিভিংস্টোন ৩ টি করে উইকেট নেন। ২ টি করে শিকার গাস আটকিনসন ও রেহান আহমেদের।
জবাব দিতে নামা ইংল্যান্ড ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস জুটিতে ৫.৫ ওভারেই ৫০ রান তোলে। ১৫ বলে ২১ রান করে ফেরেন সল্ট। তবে উইল জ্যাকস ৭২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন।
জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট সমান ৩ রান করে আউট হলেও হ্যারি ব্রুক ও জস বাটলার সেই ধাক্কা বুঝতেই দেননি। ব্রুক ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন, বাটলার ৪৫ বল খেলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২/১০ (৩৯.৪), অ্যাথনেজ ৪, কিং ১৭, কার্টি ০, হোপ ৬৮, হেটমেয়ার ০, রাদারফোর্ড ৬৩, চারিয়াহ ৫, শেফার্ড ১৯, জোসেফ ১৪, মোতি ৬, থমাস ০; কারেন ৭-০-৩৩-৩, আটকিনসন ৬.৪-০-২৮-২, রেহান ১০-১-৪০-২, লিভিংস্টোন ৬-০-৩৯-৩
ইংল্যান্ড ২০৬/৪ (৩২.৫), সল্ট ২১, জ্যাকস ৭৩, ক্রলি ৩, ডাকেট ৩, ব্রুক ৪৩*, বাটলার ৫৮*; শেফার্ড ৬-০-২৭-১, মোতি ৭.৫-০-৩৪-২, রাদারফোর্ড ৪-০-২৪-১
ফলাফলঃ ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ স্যাম কারেন (ইংল্যান্ড)।