কানের মঞ্চে গলায় মোদির ছবি ঝোলানো নেকলেস! | চ্যানেল আই অনলাইন

কানের মঞ্চে গলায় মোদির ছবি ঝোলানো নেকলেস! | চ্যানেল আই অনলাইন

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের রেড কার্পেটে যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান ৷ ফ্যাশন-গ্ল্যামারের দুনিয়ায় মোদির ছবি গলায় শোভা পেল হারের সাজে ৷ ফিল্মি জগতের ফ্যাশন দুনিয়ায় মোদির মুখ জায়গা পেল অভিনেত্রী রুচি গুজ্জারের গলার লকেটে৷ যে ছবি শোরগোল ফেলেছে নেটপাড়ায় ৷

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমার প্রাধান্য বরাবরই ৷ পাশাপাশি ফিল্ম ফেস্টের রেড কার্পেটে নজর থাকে তারকাদের ঝলমলে পোশাকের ওপরেও৷ ইতোমধ্যেই বলিউডের ঊর্বশী রাওতেলা, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নীতাংশি গোয়েল, মৌনি রায়ের মতো তারকারা টপ ফ্যাশনে নজর কেড়েছেন৷ তবে যেন সকলকে ছাপিয়ে গেলেন অভিনেত্রী রুচি গুজ্জার ৷

কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের উপস্থিতি দিয়ে কেবল সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি, বরং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে তৈরি নেকলেস পরে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন। রুচির কথায়, “এই নেকলেসটি কেবল গয়না নয় – এটি শক্তি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উত্থানের প্রতীক। কানে এটি পরে আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম, যার নেতৃত্বে ভারত নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।”

জানা গেছে, নেকলেসটি ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানী নকশা দিয়ে সজ্জিত। রুচির পোশাক ডিজাইন করেছেন রূপা শর্মা৷ সোনালি রঙের লেহেঙ্গায় কাঁচের কাজ, যা জয়পুরের রাজকীয় শিল্পের একটি আধুনিক ব্যাখ্যা। লেহেঙ্গাটি ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানী সৌন্দর্যকে আধুনিক স্টাইলে উপস্থাপন করেছে কানের রেড কার্পেটে।

তবে এই সবকিছুর মধ্যে আকর্ষণের আসল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদি অনুপ্রাণিত নেকলেস। এই অলঙ্কার কেবল ফ্যাশন স্টেটমেন্টই তৈরি করেনি, বরং মোদিপ্রেমের চেতনাকেও তুলে ধরেছে। রুচি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশ্বব্যাপী ভারতের ভাবমূর্তি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আমি সেই গর্ব আমার সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম ৷ এই নেকলেসটি ছিল তার নেতৃত্বের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।”

অভিনেত্রীর কথায়, কানে রাজস্থান এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা কেবল একটি মুহূর্ত নয়, বিশ্বের কাছে একটি বার্তা যে ভারত অগ্রগতির মুখ হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ৷ যদিও রুচির এই পদক্ষেপ নিয়ে নেটপাড়ায় নানা মুনির নানা মত ৷ কেউ কেউ যেমন এই সাহস ও ফ্যাশনের প্রশংসা করেছেন ৷ আবার অনেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে রুচির ‘রুচি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটপাড়ায় ৷

Scroll to Top