‘কাউকে না কাউকে তো ঝুঁকি নিতেই হবে’ | চ্যানেল আই অনলাইন

‘কাউকে না কাউকে তো ঝুঁকি নিতেই হবে’ | চ্যানেল আই অনলাইন

টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে শুরুটা একটু দেখেশুনে করা গেলেও সাধারণত উইকেট নিয়ে খুব বেশি ভাবার সুযোগ থাকে না ব্যাটারদের, নজর থাকে দ্রুত রান তোলায়। বিশেষ করে যারা ছয়-সাত নম্বরে নামেন, তাদের উপর দায়িত্বটা থাকে আরও বেশি। যে কারণে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর মতো ব্যাটারদের কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই খেলতে হয়। তার মতে, দলের প্রয়োজনে কাউকে না কাউকে তো ঝুঁকিটা নিতে হবেই।

ডাম্বুলায় রোববার তিন ম্যাচ সিরিজে দ্বিতীয়টিতে টসে হেরে আগে ব্যাটে নেমেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে লিটন দাসের দল। জবাবে লঙ্কানরা গুটিয়ে যায় কেবল ৯৪ রানে। ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে স্বাগতিকদের হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় টিম টাইগার্স। বুধবার শেষ ও তৃতীয় ম্যাচটি হবে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।

জয়ের ম্যাচে ৫০ বলে ৭৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। তবে শামীমের ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটি না হলে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন হয়তো অসম্পূর্ণই থেকে যেত। ইনিংসের শুরুতে কুশল মেন্ডিসকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট করে তিনি আবার শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কাও দিয়েছেন। সবমিলিয়ে শামীমের জন্য মনে রাখার মতো এক রাত।

পরে বাঁহাতি শামীম বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে গেলে সবসময় পরিকল্পনা থাকে ইতিবাচক থাকার। কাউকে না কাউকে তো ঝুঁকি নিতেই হবে। নিজ থেকে দায়িত্ব নিয়ে ঝুঁকিটা নিয়ে ফেলি।’

‘মাঝে মাঝে আবার জিনিসগুলোকে একটু ধীরেও খেলতে হয়। ওই সময় ভালো জুটি দরকার ছিল আমাদের। লিটন ও হৃদয়ের ইনিংসে সেটা হয়েছে। কারণ ইনিংসের শেষদিকে এসেই রান তোলায় মনযোগী হতে হয়। আর এসময় যদি হাতে উইকেট থাকে তখন ঝুঁকিগুলো নেয়া যায়। তাই লিটন এবং হৃদয়ের জুটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

Scroll to Top