করিনা হিন্দু, বিয়ের সময় খুনের হুমকি পান সইফ আলি খান – DesheBideshe

করিনা হিন্দু, বিয়ের সময় খুনের হুমকি পান সইফ আলি খান – DesheBideshe

করিনা হিন্দু, বিয়ের সময় খুনের হুমকি পান সইফ আলি খান – DesheBideshe

মুম্বাই, ০৯ নভেম্বর – ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলে দাবি করলেও ধর্ম নিয়ে ভারতে কম হানাহানির ঘটনা হয়নি। বলিউডের খান সাম্রাজ্যকে প্রায়শই হুমকির মুখে পড়তে হয় ধর্মের জন্য। সাইফ আলি খানকেও প্রাণনাশের হুমকি পেতে হয়েছিল অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে বিয়ে করার জন্য।

কী ঘটেছিল? সম্প্রতি শাহরুখ খান এবং সালমান খানকে খুনের হুমকি বার্তার মাঝেই আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সাইফ-কারিনার বিয়ের সময়কার সেই ঘটনা।

২০১২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন সাইফ আলি খান এবং কারিনা কাপুর। যদিও বিয়ের আগে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পোহাতে হয়েছিল দুই তারকাকে। পতৌদি পরিবারের নবাবের সঙ্গে হিন্দু কাপুর পরিবারের মেয়ের বিয়ে খবর শুনে যেমন হুমকির মুখে পড়েছিলেন সাইফ-কারিনা নিজে, তেমনই দুই পরিবারকেও খুনের হুমকি খেতে হয়েছিল।

বলিউড নবাব একবার নিজেই জানিয়েছিলেন সেই ঘটনা। কারিনার বাবা রনধীর কাপুরের কাছে অজ্ঞাত পরিচয় কেউ খুনের হুমকি দেওয়া চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে সাফ লেখা ছিল যে, ‘এই বিয়ে হলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং সাইফ-কারিনার বিয়ের ভেন্যুতেও হামলা চালানো হবে।’

যদিও এহেন হুমকিবার্তায় বিচলিত হননি সাইফ আলি খান নিজে। তার কারণ তাদের পরিবারে এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে।

সাইফ জানান, ষাটের দশকে যখন তার বাবা-মা মনসুর আলি খান পতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুর ভিনধর্মী বিয়ে করেছিলেন, তখনও এরকম ঘটনা ঘটেছিল।

অভিনেতার কথায়, ‘আমরা বিয়ে করি, কিছু মানুষ আসলে সেটা ভালোভাবে নেননি। আমার শ্বশুরের কাছে একাধিক হুমকিবার্তা এসেছিল। বলা হয়েছিল, আমাদের বিয়ের ভেন্যু নাকি বোম দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে। নয়তো পরিবারের কারও ক্ষতি করা হবে। তবে এসবে ভয় পাইনি আমি। কারণ হুমকি দেওয়া আর সেটাকে কাজে করে দেখানোর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটা জানতাম।’

শর্মিলা ঠাকুর নিজেও একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে তার বিয়ের সময়ে কলকাতার বাড়িতে টেলিগ্রামে হুমকিবার্তা পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, ‘এরপর গুলি কথা বলবে…।’

সেই একই ঘটনা ঘটে সাইফ-কারিনার ভিনধর্মী বিয়ের সময়েও। তবে সব হুমকি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি সুখের সংসার করে যাচ্ছেন এই জুটি।

আইএ/ ০৯ নভেম্বর ২০২৪



Scroll to Top