<![CDATA[
আবারও তিন মাস পেছাল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর সময়। ডিসেম্বরে নয়, মার্চে খুলে দেয়া হচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছরের শেষ নাগাদ বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশের মূল অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলেও ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল কাজ প্যারাপেড ওয়ালসহ বেশকিছু কাজ বাকি থাকবে। তাই চলাচলের জন্য প্রস্তুত হতে সময় লাগবে।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পথের শুরুটা হবে বিমানবন্দর থেকে মগবাজার, কমলাপুর, সায়দাবাদ হয়ে বিনা বাধায় চিটাগং রোড।
শুরু থেকেই আর্থিক সংকটসহ বেশ কিছু জটিলতা ভুগিয়েছে এই প্রকল্পকে। যে কারণে বারবার পিছিয়েছে সময়। তবে গত এক বছরে বেড়েছে গতি। বিশেষ করে তেজগাঁও পর্যন্ত চালু করতে এখন কাজ চলছে পুরোদমে। ভায়াডাক্ট উঠে গেছে বিমানবন্দর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে। আবার বনানী থেকে চলে গেছে মহাখালী পর্যন্ত। ওদিকে তেজগাঁও থেকেও ভায়াডাক্ট যাচ্ছে মহাখালীর দিকে। মাঝখানে বাকি কয়েকটা ক্রসবিম।
প্রথম অংশ শুরু থেকে বনানী পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৯০ ভাগ, বনানী থেকে তেজগাঁও হয়েছে ৪০ ভাগ। তবে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশের কাজ হয়েছে ৭৫ ভাগ।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে যানজট কমাবে ‘ইন্টারচেঞ্জ’
স্যাং ডং সিনোহাইড্রোর ম্যানেজার বিল্লাল হোসেন বলেন, আগের চেয়ে অগ্রগতি অনেক বেড়েছে। ক্রসবিম তেজগাঁও থেকে বনানী পর্যন্ত প্রায় শেষ। আর ১৫ থেকে ২০টির মতো বাকি আছে।
প্রাথমিক লক্ষ্য ডিসেম্বরে বলা হলেও এ সময়ের মধ্য কাজ যে শতভাগ শেষ হবে না, এখন সহজেই বোঝা যায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, তাই তিন মাস বাড়িয়ে মার্চে চালু হবে প্রথম পর্ব। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে অবকাঠামোগত কাজ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রজেক্ট ম্যানেজার ওয়াং জিং হাং বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরকে সামনে রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলাম। তবে সে পর্যন্ত অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ হলেও যান চলাচল করতে মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
পাশাপাশি শিগগিরই দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে কমলাপুর অংশের কাজ শুরুর কথাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
]]>