দুদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি। আলোচনা হচ্ছিল সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেয়া, আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে প্রস্তাব দেয়া ও তার সম্মত হওয়া ঘিরে। এরমধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত কাউন্সিলর হিসেবে আমিনুল ইসলামকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এনএসসি থেকে সাবেক অধিনায়ক আমিনুলকে মনোনয়ন দেয়ার মাধ্যমে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে নতুন সভাপতি পদের আরও কাছে পৌঁছালেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে পরিচালকদের বোর্ড সভা। সভার মাধ্যমে আসতে পারে বিসিবির নতুন সভাপতির ঘোষণা।
আমিনুল কদিন থেকেই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, বিসিবিতে সময় দিতে আগ্রহী তিনি। এজন্য যেকোনো দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। আপাতত সেটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। দীর্ঘমেয়াদি কোন দায়িত্বে আপাতত যেতে চান না ৫৭ বর্ষী সাবেক ব্যাটার।
ফারুক আহমেদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে পরিচালক হয়েছিলেন গত বছরের আগস্টে। পরে পরিচালকদের ভোটে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। একবছর না হতেই তার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন বিসিবি পরিচালকরা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করেছে। তাতে বোর্ড সভাপতি হওয়ার প্রধান শর্ত হারিয়েছেন ফারুক।
বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করার খবর জানায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফারুকের প্রতি ৮ পরিচালকের অনাস্থা ও বিপিএল নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তদন্ত প্রতিবেদন কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বিসিবির গঠনতন্ত্রে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী পরিচালকরা হলেন- নাজমুল আবেদীন ফাহিম, মাহবুবুল আনাম, কাজী ইনাম আহমেদ, ফাহিম সিনহা, সালাহউদ্দিন চৌধুরী, ইফতিখার রহমান, সাইফুর আলম স্বপন চৌধুরী এবং মঞ্জুর আলম। জাতীয় দলের অধিনায়ক আকরাম খান একমাত্র বোর্ড পরিচালক হিসেবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।
পরিচালকরা ফারুকের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণ এবং গঠনতন্ত্রের সাংবিধানিক ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। তারা বিসিবির ১৪-খ ধারার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে কোচ নিয়োগ বা বরখাস্ত করার সময় পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন।
পরিচালকরা জানিয়েছেন, অক্টোবরে পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে বরখাস্ত করেছিলেন ফারুক। এছাড়া ২০২৪-২৫ মৌসুমে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্বার রাজশাহী এবং চিটাগাং কিংসের অনুমোদনের সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেননি।