আধারের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে মুহূর্তে টাকা গায়েব! কীভাবে লক করবেন কার্ড? জানুন

আধারের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে মুহূর্তে টাকা গায়েব! কীভাবে লক করবেন কার্ড? জানুন
আধারের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে মুহূর্তে টাকা গায়েব! কীভাবে লক করবেন কার্ড? জানুন

দুর্গাপুর: চুরি হয়ে যাচ্ছে হাতের ছাপ। ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। প্রতারণার নতুন ফাঁদ রাজ্যে। সাইবার প্রতারকরা বায়োমেট্রিক ছাপ চুরি করে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব করে দিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। বিগত কয়েক দিনে রাজ্য জুড়ে একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো তটস্থ হয়ে পড়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কীভাবে বাঁচবেন প্রতারকদের হাত থেকে? কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? কীভাবে রক্ষা করবেন নিজের হাতের ছাপ? উপায় বলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে জেনে নিন আধার কার্ডের সঙ্গে থাকা আপনার বায়োমেট্রিক ছাপ কীভাবে লক করে রাখবেন। কীভাবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফিঙ্গার প্রিন্ট সুরক্ষিত রাখবেন প্রতারকদের হাত থেকে।

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার পর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে চিনতে পারছেন না এই ব্যক্তি, আপনাকে খুঁজে দিতে হবে! পারলে আপনি সত্যিই জিনিয়াস

প্রথমেই জেনে নিন কীভাবে হচ্ছে এই প্রতারণা? দুর্গাপুরের সাইবার ক্রাইম দফতরের আধিকারিক বিবেকানন্দ বাবু জানিয়েছেন, এই ভাবে দুষ্কৃতীদের টাকা তুলে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ এসেছে। আধারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজে হাতের ছাপ দেওয়া হয়। সেই হাতের ছাপ কোনও ভাবে পৌঁছে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বিশেষ করে জমি রেজিস্ট্রেশন করার সঙ্গে এই অপরাধীদের কোনও ভাবে যোগসাজস রয়েছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞ

কারণ প্রতারিতদের অনেকেই সম্প্রতি জমির রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন। জমি রেজিস্ট্রেশন করতেই সব আঙুলের ছাপ লাগে। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সেখান থেকে কোনও ভাবে চুরি যাচ্ছে হাতের ছাপ। তাছাড়াও আধারের সংযুক্ত বায়োমেট্রিক বিভিন্ন সময়ে আমাদের ব্যবহার করতে হয়। কেওয়াইসি, আধার কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা অথবা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই আমাদের বর্তমানে ফিঙ্গারপ্রিন্টের ব্যবহার বেড়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা চুরি করছে। গায়েব করে দিচ্ছে টাকা।

আরও পড়ুন: স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকাকালীন পরিচারিকাকে ধর্ষণ! যেতে হয় জেলে, সাইনি আহুজা এখন কোথায়?

কিন্তু কীভাবে বাঁচবেন এই প্রতারকদের হাত থেকে? ফিঙ্গারপ্রিন্ট চোরেদের থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হলে যেখানে সেখানে নিজের হাতের ছাপ ব্যবহার করা যাবে না। খুব প্রয়োজন না হলে বায়োমেট্রিক ছাপ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। একই সঙ্গে বলছেন, যদি খুবই প্রয়োজনে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হয়, তাহলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশ্বস্ত এবং সুরক্ষিত সাইবার ক্যাফে ছাড়া বায়োমেট্রিক ব্যবহার করা যাবে না। এমনটা না করলে চুরির ভয় বেড়ে যাবে।

যে সমস্ত জায়গায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট বেশি ব্যবহার করতে হয়, সেই সমস্ত কাজগুলি যদি আপাতত বন্ধ রাখা যায়, তাহলে এই ডিজিটাল চোরেদের হাত থেকে কিছুটা সুরক্ষিত থাকবেন মানুষ। অচেনা কোনও ব্যক্তি বা অচেনা কোনও ওয়েবসাইট বা অন্য কোথাও বায়োমেট্রিক ব্যবহার করা যাবে না। আর এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি সুরক্ষিত উপায় হল বায়োমেট্রিক লক করে রাখা। তার জন্য প্লে স্টোর থেকে এম আধার অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর নিজের আধার নম্বর এবং ওটিপি দিয়ে লগ ইন করুন। এরপর সেখান থেকে বায়োমেট্রিক লক করার অপশন খুঁজে পাবেন। বিলম্ব না করে সেটি অবিলম্বে বন্ধ করুন।

Nayan Ghosh

পশ্চিম বর্ধমান

পশ্চিম বর্ধমান

Published by:Raima Chakraborty

First published:

Tags: Crime News, Cyber Fraud, Online Frauds

Scroll to Top