পাকিস্তানের শোবিজ তারকা শামুন আব্বাসি প্রয়াত অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলীর মায়ের এক সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি একটি টিভি সাক্ষাৎকারে হুমায়রার মা অভিযোগ করেন, করাচির মানুষ নাকি তার মেয়ের সাহায্যের আকুতি উপেক্ষা করেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সাক্ষাৎকারে হুমায়রার মা করাচির মানুষদের ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘সংবেদনহীন’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, “আমি করাচির মানুষদের অভিশাপ দিচ্ছি। আমার মেয়ের বাসা থেকে চিৎকার শোনা গেলেও কেউ ওর খোঁজ নেয়নি, কেউ দরজায় কড়া নাড়েনি। সবাই নিজেদের মতো ঘোরাফেরা করে গেছে।”
এ বক্তব্যে শোবিজের অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিশেষ করে শামুন আব্বাসি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা তার (হুমায়রা) মা–বাবার কষ্ট বুঝি, তবে মেয়ের দায়িত্ব প্রথমত পরিবারকেই নিতে হয়। হুমায়রার জন্য পুলিশ যখন সাহায্য চেয়েছিল, তখন তার পরিবার সাড়া দেয়নি। পরে সামাজিক চাপ বাড়লে ভাইয়েরা এসে মরদেহ গ্রহণ করেছে, তাদের অবস্থানও তখন পাল্টে যায়।”
শামুন আরও বলেন, “অর্থনৈতিক অসুবিধা থাকলে লাহোর থেকে অন্তত কোনো আত্মীয়কে করাচিতে পাঠানো যেত। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো যেত। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে করাচির সাধারণ মানুষকে দোষারোপ করা অনৈতিক।”
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “সম্পর্কটা ছিল আপনার, দায়িত্বও আপনার। কিন্তু আপনি সহজ পথ বেছে নিয়ে পুরো শহরকে দোষ দিলেন।”
এ সময় তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন—যদি পরিবার মরদেহ গ্রহণ না করতো, তবে শোবিজ অঙ্গন ও কয়েকটি এনজিও সম্মিলিতভাবে হুমায়রার দাফনকার্য সম্পন্ন করত, এমন প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল।
শামুন আব্বাসি বলেন, “হুমায়রার মৃত্যু আমাদের সবাইকেই কষ্ট দিয়েছে, কিন্তু এমন সময়ে নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেওয়াই উচিত। কারণ একাকী মারা যাওয়া কারও দায় গোটা শহরের নয়, সেটা প্রথমত পরিবারকেই নিতে হয়।”
করাচির ডিফেন্স ফেজ-৬–এ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন হুমায়রা আসগর। গত ৮ জুলাই সেখানে আদালতের আদেশে বেইলিফ গিয়ে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকেই মৃত অবস্থায় ছিলেন।
২০১৪ সালে ভিট মিস সুপার মডেল খেতাব জিতে পরিচিতি পান হুমায়রা। এরপর তিনি তামাশা ঘর (২০২২), জাস্ট ম্যারিড, এহসান ফরমোশ, গুরু, চল দিল মেরে–এর মতো নাটকে এবং জালাইবি (২০১৫), লাভ ভ্যাকসিন (২০২১) সিনেমায় অভিনয় করেন। দ্য কারেন্ট.পিকে